আজ শনিবার, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খালেদা ইস্যুতে জেলা বিএনপির সভায় ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের বয়কট

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার টেকনাফ যাত্রা উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এক প্রস্তুতি সভায় মাত্র ৭জন উপস্থিত থাকলেও ৩জনই বয়কট করেন যে কমিটির পরিধি ২৬জনের।

আগামী ২৮ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়া সড়ক পথে চট্রগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। সেদিন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের মোড় থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কটি নারায়ণগঞ্জ জেলায় অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয় বিএনপির নেতারা সেদিন এ সড়কটিতে শো ডাউন করে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবে। ২৫ অক্টোবর দলের মহাসচিব জেলা ও মহানগর বিএনপির ডেকে নিয়ে এ নির্দেশনা দেন।

এর পরদিন ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রস্তুতি তদারকি করতে আসেন কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম। সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে জেলা বিএনপির সেক্রেটারী মামুন মাহমুদের অফিসে ওই প্রস্তুতি সভাটি ডাকেন জেলা কমিটি। তবে সেখানে মাত্র ৭জনের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলা প্রস্তুতি সভায় ৭জনের মধ্যে ৩জনের বয়কটের খবর পাওয়া গেছে। সভায় মামুন মাহমুদ, সহ সভাপতি বিতর্কিত আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, আবদুল হাই রাজু, মনিরুল ইসলাম রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের উপস্থিতি দেখে ‘বয়কট’ করে উঠে আসেন রুহুল আমিন সিকদার, মনিরুল ইসলাম রবি ও আকবর হোসেন যারা গত ১৯ অক্টোবর থেকে আকার ইঙ্গিতে আজাদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। ফেসবুকে নিজের একাউন্টে প্রতিনিয়ত স্ট্যাটাসও দেন।

১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক সভায় হাজির হন আজাদ বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন সরকার ও আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের পক্ষে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা বিএনপির প্রথম প্রস্তুতি সভা হয় যেখানে ৩জন বয়কট করেন। সেখানে মাত্র ৪জন ছিলেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা যখন সকল কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তখন ৭জনই উপস্থিত ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও প্রবীণ রাজনীতিক জান্নাতুল ফেরদৌস নিউজ নারায়ণগঞ্জকে জানান, ‘যে কমিটির নেতারা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কিংবা দলের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে লিপ্তদের ইস্যুতে চুপ থাকেন তাদের সঙ্গে এক টেবিলে বৈঠকে বসা আমার পক্ষে সম্ভব না। এটা কোন রাজনীতি হতে পারে না।’

গত ১৯ অক্টোবর ফতুল্লায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন আজাদ বিশ্বাস। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনা ও এমপি শামীম  ওসমানের ব্যাপক  প্রসংশা করেছেন আজাদ  বিশ্বাস। আজাদ বিশ্বাস বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, আমার নেতা শামীম ওসমান। আমি বিএনপি নেতা হয়ে শামীম ওসমানকে স্যালুট জানাই।